আমার প্রথম পাবলিক পরীক্ষা আর ভোঁতা পেন্সিলের গল্প! | সনেটের বাংলা টেকনোলোজি ব্লগ


আমার প্রথম পাবলিক পরীক্ষা আর ভোঁতা পেন্সিলের গল্প!


আমার তখন এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। জীবনের প্রথম বড়সড় পাবলিক পরীক্ষা। মনের মধ্যে স্বভাবতই অনেক টেনশন, কী হবে না হবে কিছুই বুঝতে পারছি না। পরীক্ষা খারাপ হবে কি না সেটা আবার আরেক টেনশন। মোটামুটি বাজে অবস্থা।

এর উপরে আরো দুই ধরণের মানুষের জ্বালাতনে মরে যাই যাই অবস্থা। যে আত্মীয়দের কস্মিনকালেও আশেপাশে দেখি নি আমিসহ আমাদের বাসার কেউ, সেই মানুষগুলো সমানে ফোন দিয়ে পরীক্ষার খোঁজখবর নিচ্ছে, কথাবার্তা বলছে। চরম বিরক্তিকর বিষয়।

 রাজধানীর নাম জানাটা সাধারণ জ্ঞানের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই ১০ মিনিট স্কুলের এই মজার কুইজটির মধ্যমে যাচাই করে নাও নিজেকে! জেনে নিই রাজধানীর নাম!
তার উপরে আমার কিছু ন্যাকা বন্ধু প্রায়ই ফোন দিয়ে বলছে, “দোস্ত আমি কিচ্ছু পারি না, ফেইল করবো, কী যে হবে!” অথচ আমি নিশ্চিত সে এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস চোখ বন্ধ করে পেয়ে যাবে। বিশ্রি অবস্থা।

যাইহোক, প্রথম পরীক্ষার দিন। আমার সাথে আমার প্রথম পরীক্ষায় এসেছেন আমার মা। তাঁর সাথে আমার কথোপকথন-
মা: আয়মান, বাবা পেন্সিল নিয়েছিস?

আমি: *ক্ষীণ কণ্ঠে* হ্যাঁ, মা।

মা: আয়মান, বাবা ইরেজার নিয়েছিস?

আমি: *আরো ক্ষীণ কন্ঠে* হ্যাঁ, মা।

মা: আয়মান, বাবা পেন্সিল শার্প করে নিয়েছিস তো?

আমি: *শোনা যায় না এমন গলায়* হ্যাঁ, মা।

এবার মা ব্রহ্মাস্ত্র ছাড়লেন। বলে বসলেন, “বাবা পেন্সিল বেশি শার্প করিস নাই তো?”

আমি মোটামুটি যারপরনাই হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিলাম। আর কিছুই বললাম না। মা এবার শুরু করলেন তাঁর ভোঁতা পেন্সিলের কারসাজি। তিনি বললেন, “বাবা ও এম আর শিটের জন্যে তুই ভোঁতা পেন্সিল নিয়ে যা। দ্রুত গোল্লা ভরাট করতে পারবি”। আমি চিন্তা করে দেখলাম, ভালোই তো আইডিয়া!


যেই বলা সেই কাজ। মা শুরু করে দিলেন তাঁর কাজ। শব-এ-বরাতে যেমন রুটি আর হালুয়া বানায় না? সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে মুহূর্তেই আমার দুটো পেন্সিল ভোঁতা হয়ে গেল।


ডেমো পোষ্ট !
ক্রেডিটঃ আইমান সাদিক ভাই 


Print / Save As PDF
আগের পোষ্ট
প্রথম
এই পোষ্টটি লিখেছেনঃ
আরো দেখতে পারেনঃ